গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে হেফাজতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিভাবকদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা। গত কয়েকদিন ডিবির হেফাজতে থাকা সমন্বয়করা হলেন- মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।
এদের মধ্যে ২৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
পরেরদিন আরও তিন সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।
গোয়েন্দা হেফাজতে থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বিবৃতি দেন ছয় সমন্বয়ক। তবে ছাত্রদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, তাদের কাছ থেকে জোর করে বিবৃতি আদায় করেছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি অস্বীকার করে গোয়েন্দা পুলিশ বলে, সমন্বয়কারীদের কাছ থেকে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি আদায় করা হয়েছে-এই তথ্য সঠিক সঠিক নয়।
এদিকে ছাত্রদের হেফাজতে রাখা এবং খাবার খাওয়ানোর ছবি প্রকাশ করেন সদ্য বদলি হওয়া ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।
বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসা পুলিশ কর্মকর্তা হারুন সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কে ডিবি কার্যালয়ে হেফাজতে নিয়ে তাদের সঙ্গে খাবারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। এক রিট আবেদনের শুনানিতে এ নিয়ে ‘উষ্মা’ প্রকাশ করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।