ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে আলোচনার ৯০% সম্পন্ন হয়েছে, তবে এখনো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়ে গেছে, যা সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।
ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরায়েলি সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা চলছে। এটি মিশরের সীমান্ত ঘেঁষে গাজার দক্ষিণ অংশে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনার বিবরণে জানান, গাজার সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্ত বরাবর একটি বাফার জোন তৈরি করার প্রস্তাব রয়েছে, যার প্রস্থ কয়েক কিলোমিটার হতে পারে।
ইসরায়েল এই এলাকায় সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
এই সমস্যাগুলোর সমাধান হলে কয়েক দিনের মধ্যে তিন ধাপের একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
চুক্তির প্রথম ধাপে প্রতিটি নারী বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পাবে।
মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দীদের তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইসরায়েলের কারাগারে ২৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে বন্দী থাকা প্রায় ৪০০ জনের তালিকা থেকে নির্বাচন করা হবে।
এই তালিকায় ফাতাহ নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা নেই, কারণ তার মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের আপত্তি প্রত্যাশিত।
ইসরায়েলি জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে। হামাসের ধারণা, এখনও কিছু নিখোঁজ জিম্মিদের খুঁজে বের করার প্রয়োজন রয়েছে।
গাজায় এখনো ৯৬ জন জিম্মি বন্দী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬২ জনকে ইসরায়েল জীবিত ধরে নিয়েছে।
গাজার বেসামরিক জনগণ উত্তর অংশে ফিরে যেতে পারবে, যা মিশর ও কাতারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক সাহায্য নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।
তিন ধাপের পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে, যা ১৪ মাস ধরে চলা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে, গাজা একটি টেকনোক্র্যাট কমিটির তত্ত্বাবধানে থাকবে। এই কমিটির সদস্যদের আগের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকবে না, তবে এটি সকল ফিলিস্তিনি উপদলের সমর্থন পাবে।