বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি এবং গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক, যা একে অপরকে ছাড়া চলতে পারে না। তিনি দাবি করেন, গণতন্ত্র বিএনপিকে ছাড়া চলতে পারে না, আবার বিএনপিও গণতন্ত্রকে ছাড়া চলতে পারে না।
আজ ২২ নভেম্বর রোজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, এই গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেল খেটেছেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন ও স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছেন। ফলে, গণতন্ত্র আর বিএনপিকে আলাদা করা সম্ভব নয়।
আমীর খসরু উল্লেখ করেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দলের এই সংগ্রাম এখনো চলছে এবং তা শেষ হয়নি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের বাহক হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, যেটার অপেক্ষায় দেশবাসী আছে। তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে, আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার জন্য গণতন্ত্র বিরোধীরা এখনও সক্রিয়ভাবে চক্রান্ত করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, গণতন্ত্র বিরোধীরা চায় না বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসুক, কারণ গণতন্ত্র না থাকলে একটি গোষ্ঠী লাভবান হয়।
আমীর খসরু আরও বলেন, আমরা যদি জিততে না পারি বাংলাদেশ হেরে যাবে, হেরে যাবে গণতন্ত্র , আমরা হেরে যাবো। সুতরাং এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জিয়াউর রহমান যেভাবে এদেশকে মুক্ত করেছিলেন, বাংলাদেশকে সেই চেতনায় মুক্ত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আমতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী একদিকে নির্বাচনের কথা বলছে, অন্যদিকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে এবং অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের মাধ্যমে জোর-জবরদস্তি করে দাবি আদায় করতে চাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়ার কারণে তারা কারও মুখোমুখি হচ্ছেন না বা কোনো সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে যাচ্ছেন না।
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে হবে, কারণ শত সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হয়।

