অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফরে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি ।
রাশেদ খান বলেন,৩ টা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিজেদের প্রটেকশনের স্বার্থে নিয়ে গেছেন। তাছাড়া সেখানে রাজনীতিকদের কোন কাজ নাই। স্বাভাবিকভাবে সেখানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে। হয়তো তারা গালিগালাজ বা উপদেষ্টাদের অপদস্ত করার মত ঘটনা ঘটাবে। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তার জন্য ব্যানার নিয়ে নেমে গেছে। পাশাপাশি আওয়ামীলীগও আছে। বিদেশের মাটিতে মুখোমুখি অবস্থান! কল্পনা করেন, যদি রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা না যেতো, তাহলে কি বিএনপি- জামায়াতের নেতাকর্মীরা আসতো? না আসলে পরিণতি কি হতো? অর্থাৎ সরকারের উপদেষ্টারা যতোবড় কথায় বলুক না কেন, তারা টিকেই আছে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতায়।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, বৈষম্য দূর করতে এসে এই উপদেষ্টা পরিষদ আরও বৈষম্যের উৎপাদন করেছে। সাড়ে তেরো মাসে সরকার প্রধান যেসব অনুষ্ঠানে দেশের বাইরে গেছেন, সেসব অনুষ্ঠানে পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশ স্রেফ প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকার প্রধান সেখানে নিজে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বাংলাদেশিদের কাছে প্রবল করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “সর্বশেষ জাতিসংঘ সফরে বিএনপির ২ জন প্রতিনিধি ও জামায়াত-এনসিপির ১ জন করে প্রতিনিধি থাকায় জামায়াত-এনসিপি আপত্তি জানিয়েছে, তারা সরকার থেকে সমতা চায়! মানে নিজেদের মধ্যে সমতার নীতি প্রতিষ্ঠিত হলে আর কোন দলের প্রয়োজন নেই! এভাবেই সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ গঠন করতে চায়।”