আজ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন,
“বিশেষজ্ঞরা জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধানে অর্ডারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার বিষয়ে মত দিয়েছেন। আবার তারা বলেছেন, চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য গণভোট লাগবে। গণভোটের মাধ্যমে যদি জনগণ এটাকে রিসিভ করে তাহলে শুধুমাত্র জুলাই জাতীয় সনদ গৃহীত হবে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি জনগণ এটাকে রিসিভ না করে জুলাই জাতীয় সনদের বিপক্ষে ভোট দেয়, সেক্ষেত্রে কী হবে?”
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের বিরতিতে এসব কথা বলেন রাশেদ খান।
রাশেদ খান বলেন,
“ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আবারও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। আজ ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞের সর্বসম্মত চূড়ান্ত অভিমত যেটা, সেটা আমাদের সামনে তারা উত্থাপন করেছেন। তারা বলেছেন যে এটা একটা খসড়া অভিমত।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন,
“আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বা তাদের দোসররা হয়তো অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে, যারা এই সরকারকে মানে না, যারা জুলাই জাতীয় সনদকে মানে না, তারা কী করবে? তারা অবশ্যই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে এই সনদের বিপক্ষে ভোট দেবে। আবার মনে করেন যে, ঐকমত্য কমিশনে যারা সংস্কারের কিছুটা বিপক্ষে বা এখনই বাস্তবায়িত হোক সেটা চাচ্ছে না, তারা কোন দিকে ভোট দেবে? সবমিলিয়ে এই জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে তারা যে পদ্ধতি আমাদের সামনে উত্থাপন করেছেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা কঠিন।”
Tasin/Digital Khobor