বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান গতকাল তার এক বক্তব্যে বলেছেন,“নারীর মুক্তি ও সমতার আন্দোলনে এসব সেমিনার করে লাভ হবে না। নারীর জন্য আমাদের অন্তর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে।
গতকাল ১৮ আগস্ট রোববার গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনের গ্র্যান্ড বলরুম জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন ড. আবদুল মঈন খান। খান ফাউন্ডেশন জুলাই অভ্যুত্থান এবং নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ।
এই সেমিনারে অ্যাডভোকেট রোখসানা খোন্দকার সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন। ড. আদি ওয়াকার এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন । এছাড়া ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইসহ কূটনৈতিকরা অংশ নেন বিভিন্ন দেশে।
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ৫০ শতাংশের অধিক নয় কেন , এ নিয়ে আবদুল মঈন খান প্রশ্ন তুলে বলেন, “দেশে প্রায় ৪০ লাখ নারী শ্রমিক আছে যারা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে বিরাট অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের চেয়ে বেশি রয়েছে নারী।“ জাতীয় সংসদ ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫০ জন বা ১৫১ জন কেন নারী প্রতিনিধিত্ব থাকবেন না এই নিয়ে প্রশ্ন রাখেন মঈন খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সোলিমা রহমান এই সেমিনারে বলেন, “নারী আসনের একমাত্র সমাধান সরাসরি ভোটের সুযোগ দেওয়া। আমি বলছি না ১০০টা আসন দিতে হবে। কিন্তু এর সমাধান করতেই হবে।“
নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, “কতটুকু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে জানি না, কিন্তু নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ করতেই হবে।“
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই সেমিনারে বলেন, “আমি ঢাকায় যোগদানের পর অনেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। এই অনুষ্ঠানে দেখলাম পুরুষ এবং নারী সমান অংশগ্রহণ আছে। এই বিষয়টি খুবই ভালো লাগলো।“
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ড. মাহদি আমিন, জেএসডির তানিয়া রব, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের নূরুল হক নূর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণ ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, মুনজুল আলম পান্না, কাজী জেসিন ও দিপ্তি চৌধুরী।
Tasin/Digital Khobor