বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত ‘ভারতীয় এজেন্ডা নিয়ে মাঠে জামায়াত’ শিরোনামের প্রতিবেদনকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর দাবি, আসলে পিআর পদ্ধতি চালু ও জুলাই সনদের বিরোধিতা করাই ভারত ও আওয়ামী লীগের এজেন্ডার অংশ, যা জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো ছাড়া আর কিছু নয়।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
অ্যাডভোকেট জুবায়ের বলেন, “দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি বানোয়াট ও অসত্য। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ডা. জাহেদুর রহমান পানি ঘোলা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। পিআর ও জুলাই সনদকে ভারতীয় এজেন্ডা আখ্যা দিয়ে তিনি আসলে আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থই রক্ষা করছেন।”
তিনি দাবি করেন, “পিআর বা প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতি হলো আধুনিক বিশ্বের স্বীকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। বর্তমানে এটি কার্যকর রয়েছে প্রায় ৯১টি দেশে । বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, আলেম-ওলামা, রাজনৈতিক নেতা এবং ছাত্রসমাজের বৃহৎ অংশ সমর্থন করছে এই ব্যবস্থাকে । অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে চালাচ্ছে প্রচারণা , যাতে সংসদ ভারসাম্যপূর্ণ না হয় এবং গণতন্ত্র মজবুত ভিত্তি না পায়।”
জামায়াতে ইসলামীর মতে, শুধু একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব নয় এই জুলাই সনদ, বরং এটি দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার রূপরেখা। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোও ভারত-আওয়ামী লীগের কৌশলের অংশ বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয় ।
বর্তমানে জামায়াতসহ ২৫টি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য দাবি তুলেছে। তাদের মতে, এতে প্রতিফলন ঘটবে সংসদে সব মতাদর্শের এবং দেশে গড়ে উঠবে একটি টেকসই জাতীয় সংসদ । জুবায়ের বলেন, “শিগগিরই জনগণের আন্দোলনের মুখে সরকার পিআর পদ্ধতি মেনে নিতে বাধ্য হবে। এতে গণতন্ত্র সুসংহত হবে, অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং জাতীয় স্থিতিশীলতা আসবে।”
Tasin/Digital Khobor