দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কসমেটিকস, হোমকেয়ার ও স্কিনকেয়ার পণ্য উৎপানকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যানের ব্রান্ড লিলির পণ্য নকল করে ধরা পড়লো অসাধু চক্র। মেগাস্টার শাকিব খানের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে জনপ্রীয় ব্র্যান্ড লিলির পণ্য নকল করতে গিয়ে কঠোর শাস্তি পেল প্রতারক। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এই প্রতারককে জরিমানাসহ জেলদণ্ড দিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, খবর পেয়ে গত সোমবার (১০-০২-২০২৫) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার দনিয়ায় মাদ্রাসা রোডের মায়ের দোয়া কনজ্যুমার ইন্ডস্ট্রিজে বিএসটিআই-এর নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সাবেকুন নাহারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মিজানুর রহমান লিলির পণ্য নকল করে বাজারজাত করছিলেন। এসময় লিলি ছাড়া অন্য কিছু ব্রান্ডের পণ্যও উদ্ধার করেন বিএসটিআই কর্মকর্তারা।
কেন জনপ্রিয় ব্রান্ড লিলির পণ্য নকল করছেন, বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি অসাধু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান। বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স চাইলেও তা দেখাতে পারেননি। বরং অন্য ব্যক্তির ওপর দায় চাপিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। কোন ধরনের নথিপত্র দেখাতে না পারায় পরে বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অসাধু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। অবৈধভাবে পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও বাজারজাত করার অপরাথে এ শাস্তি দেয়া হয়। এছাড়া অবৈধ মালামাল জব্দসহ ধ্বংসও করা হয়।
বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা জানান, লিলির পণ্য নকলকারীকে ধরে ফেলায় ক্রেতারা ঝুঁকিমুক্ত হলেন। স্বনামধন্য ব্রান্ড লিলির সুন্নাম ক্ষুন্ন করতেই ওই অসাধু ব্যবসায়ী এহেন অপকর্মে লিপ্ত হয়। নকল পণ্য রোধে বিএসটিআইয়ের এমন অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলেও জানান সংস্থার কর্মকর্তারা।
এদিকে নকলকারীকে শাস্তি দেয়ায় বিএসটিআইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মেগাস্টার শাকিব খান । তিনি বলেন, জনগণকে অথেন্টিক পণ্য পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। কিছু অসাধু চক্র মানহীন ভেজাল পণ্য বাজারে ছড়াতে চেষ্টা করেছিল। বিএসটিআই তা রুখে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাজারে প্রথম ও একমাত্র হালাল সার্টিফিকেশন পেয়েছে লিলির পণ্য। সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে জিএমপি সনদ অর্জনসহ রপ্তানিও হচ্ছে রিমার্ক হারল্যানের পণ্য।