গতকাল ৯ আগস্ট শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই বিপ্লব : গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে উদিত গণতন্ত্রের সূর্যকে অস্তমিত হতে দেওয়া যাবে না।হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন এই সেমিনারের আয়োজন করে ।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এই উদারতা বুঝতে পারেনি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বয়ং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলেন। উদারতা হলো বিএনপির সবচেয়ে বড়গুণ।
সেমিনারে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সূর্য নতুন করে উদয় হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে । এই উদীয়মান গণতন্ত্রের সূর্যকে আর কখনো বাংলাদেশে অস্তমিত হতে না দেওয়া যাবে না।“
ড. আব্দুল মঈন খান জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “জুলাইয়ের প্রতিটি যোদ্ধার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা ফ্যাসিস্ট হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজেরা জীবন দিয়ে সমগ্র জাতিকে একটি ফ্যাসিস্ট রেজিম থেকে উদ্ধার করে জাতিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। “
শহীদ জিয়াউর রহমান কেমন ছিলেন এই বিষয়ে বাবার মুখ থেকে শোনা শহীদ জিয়াউর রহমানের একটি ঘটনা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, “একটি সভায় শহীদ জিয়াউর রহমান সকাল ১০টায় গিয়ে দেখেন যে আয়োজকদের কয়েকজন ছাড়া অন্য কোনো অতিথি উপস্থিত হননি। তখন তিনি মাইক নিয়ে খালি টেবিলে নিজেই তার বক্তব্য সময় মতো দিয়ে চলে যান । এই বলে যে, সেখানে কে এলো বা না এলো তা তার দেখার বিষয় নয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনীতি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে ।“
মঈন খান আরও বলেন, “ জিয়াউর রহমানকে আওয়ামী লীগ অখ্যাত মেজর বলে সমালোচনা করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ উপলব্ধি করতে পারেনি যে এই অখ্যাত মেজরই নিজের এবং বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ এই উদারতা বুঝতে পারেনি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বয়ং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলেন। উদারতা হলো বিএনপির সবচেয়ে বড়গুণ। তিনি বিএনপিকে একটি সেন্ট্রিস্ট বা মধ্যপন্থি দল হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যারা কোনো চরম ডান বা বামপন্থি নয়। বাংলাদেশের মানুষও এই মধ্যপন্থি নীতি পছন্দ করে এবং কোনো চরম নীতি অনুমোদন করে না।“
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আহমেদ হুসেইন। এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা কলেজের অধ্যাপক মো. আনোয়ার মাহমুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. মুস্তাফিজুর রহমান সেগুন প্রমুখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান।
Tasin/Digital Khobor