আজ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেছেন, “দেশের মানুষ আর অশান্তি চায় না। তারা নিজের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাইছে। গণতন্ত্রের প্রতি তাদের আস্থা আছে বলেই এখনও প্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে আছে। তাই কোথাও কোনো দিকে নজর না দিয়ে চোখ-কান যেভাবে রেখেছেন, ঠিক সেভাবেই আপনি এগিয়ে যান। আপনার সামনে কঠিন অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন। এই কঠিন নির্বাচনে আপনি সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করুন।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৯১ সালের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংসদে যাবে, আমরা তাদের সমর্থন করবো। কিন্তু অমুক প্রতীক না দিলে নির্বাচন করব না, গণপরিষদের নির্বাচন না দিলে ভোটে যাব না- এসব কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। শেষমেশ ভোট তো করবেনই। কেননা রাজনৈতিক কৌশল আমরা বুঝি। ভোট না করলে ৩০০ প্রার্থীকে আগেই মনোনয়ন দিয়েছেন?। তাই আসুন, আমাদের ঐক্য ধরে রাখি।”
আজ ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন বলেন, “আপনার আশপাশে দু-চারজন বা ২০ জনকে নির্বাচনে সম্পৃক্ত না করলে আমি মনে করি, ৯১ সালের চেয়েও আরেকটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আপনার প্রতি এ আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। তবে বিশ্বাসকে ধ্বংস করার জন্য আপনার পেছনেও লোক লেগেছে। আপনার আশপাশে বহু ষড়যন্ত্রকারী রয়েছেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই পাহাড়ে অশান্তির কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর তিন মাস বাকি। এর আগেই পাহাড়ে অশান্তি দেখা দিয়েছে। দুর্গাপূজা ঘিরে অনেক অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার এক পূজামণ্ডপে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার মতো সম্মানিত ব্যক্তিকে অপমানিত করা হয়েছে, যা আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশের ইতিহাস করুণ ইতিহাস। এ করুণ ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটেছে বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে। শেষ পর্যায়ে তারেক রহমানের নির্দেশে ছাত্র-জনতার বিপ্লবী আন্দোলনে সহযোগিতার কারণে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি এবং নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার হস্তান্তর পর্যন্ত করে যাবো।”
তিনি বলেন, “পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের মাঝে একটা অনৈক্যের চেষ্টা চলছে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে বা মেনে নিতে পারছে না, তারাই এসব করছে। কেউ কেউ বলা শুরু করেছে, আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ, নির্বাচন কি করতে পারবে? এজন্য ঐক্য ধরে রাখার কোনো বিকল্প নেই। পতিতদের হাতকে কোনোভাবেই শক্তিশালী করতে দেওয়া যাবে না।”