আজ ৮ মে রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবীন; মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করে জানান, আমি জাতীয় নাগরিক পার্টির কেউ নই, জুলাইয়ের আগের সাধারণ জনগণের কাতারের তাজনূভা হয়ে বলছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে মাহফুজ আর আসিফের উচিত সরে আসা । তাদের সেখান থেকে সরে এসে আবার দাঁড়ানো উচিত রাজপথের জনগণের পাশে । যে সরকারের অংশ তারা, আর অভ্যুত্থানপন্থী নাই সে সরকার। আপনাদের আর মানাচ্ছে না ওখানে। সরে এসে জনগণকে আশ্বস্ত করেন। জুলাইয়ের শহীদদের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন।
তাসনুভা তার পোস্টে আরও বলেন, “আমি নিজেই এত মর্মাহত, কেমন লাগছে শহীদ-আহতদের , আসামিরা তাদের চোখের সামনে পালাচ্ছে দাপটের সঙ্গে মাথা উঁচু করে ।” তিনি শেষ করেন, “আমার মনে হয়, রাজপথে আমাদেরকে আবারএক হতে হবে সেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নে। কারণ, শেষ হয় নাই সেই জুলাই , আদতে এখনও জুলাই চলছে।”
ইতিমধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করে এসেছেন দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য । তবে এখনও সরকারে রয়েছেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ । বিভিন্ন মহলে তাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন, মাহফুজ ও আসিফ সরকারে থাকলে সেটি কখনো নিরপেক্ষ হবে না। তাদের পদত্যাগ করে জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিত ।
একই দাবি জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানও । তিনি বলেন, ” রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মাহফুজ আলম বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। কী করে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে এ রকম অনৈক্য সৃষ্টিকারী বহাল থাকেন?” তিনি আরও বলেন, “এত তাত্ত্বিক জ্ঞান তিনি যদি ছড়াতে চান, তাহলে কেন তিনি পদত্যাগ করে জ্ঞানের ভান্ডার খুলে বসছেন না?”
অন্যদিকে, আসিফ মাহমুদ সজীব মতামত জানিয়েছেন, এখনও তিনি সিদ্ধান্ত নেননি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার । তিনি বলেন যে, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে এ বিষয়ে আমি এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেইনি, সময় আসলে দেশের মানুষের জন্য যেটা বেস্ট অপশন বা ভালো মনে হবে আমি সেখানে যোগ দিতে পারি। ছাত্রদেরকে নতুন রাজনৈতিক দলেই যোগ দিতে হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই”।