বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরেছিলেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন । আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ।
জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার যে তিনজন পুলিশকে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি তাদেরই একজন বলে জানান প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আরশাদ হোসেনসহ তিন পুলিশকে প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং তাদের কারাগারে নেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালে এইদিন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন । প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার মইনুল করিম, সাইমুম রেজা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি চলার সময় পুলিশ পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন ঢাকার নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরেন । পরবর্তীতে ওই ছবি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার হয় ।
এক পর্যায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ থানার ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে । সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তার এ ধরনের অপেশাদার কর্মকাণ্ডের ফলে পুলিশের কার্যক্রম সম্বন্ধে জনসম্মুখে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টিসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে তাকে বরখাস্ত করা হয়।