নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে ক্যারিয়ারজুড়ে নানা বিতর্ক আর সমালোচনার মধ্যেই নিষেধাজ্ঞাও ছিলেন। তবে ফৌজদারি মামলার আসামি কখনো হতে হয়নি সাকিবকে। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকায় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়ে এই অলরাউন্ডারকে।
গত ৫ আগস্ট রাজধানীর রিংরোডে মিছিলে অংশ নিয়ে নিহত হওয়া গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের হত্যা মামলায় আসামি করা হয় সাকিবকে। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ২৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয় এই অলরাউন্ডারকে। এবার এই মামলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিবের মামলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘মামলার কারণে সাকিব কিংবা জায়েদ খান, তাদের কারো সঙ্গে কি গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে? ঘটেনি। আমরা বারবার মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমরা পুলিশকে বলেছি, আপনারা বুঝানোর চেষ্টা করেন মানুষকে যে, মামলাতে আপনি যে অভিযোগ আনছেন সেটা বিশ্বাসযোগ্য কিনা। পুলিশের কাছ থেকে এবং আদালতের কাছ থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি, যারা মামলা করতে আসে সেখানেও (পুলিশের ওপর) চাপ থাকে।’
আইন উপদেষ্টা মনে করেন, গত সরকারের আমলে পুলিশের কর্মকাণ্ড ছিল বিতর্কিত। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের ওপর জনগণ আস্থা রাখতে পারছে না। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে যাদেরকে নিপীড়ক সংস্থায় পরিণত করা হয়েছিল, তাদের অনেক সময় সেই সৎ সাহস থাকে না, জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। যে কারণে এ ধরনের ঘটনা প্রথম দিকে ঘটেছে, এরপর আমরা চেষ্টা করেছি এবং এখন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।’
সাকিবের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটা ব্যক্তিগত, এটা রাষ্ট্র করেনি বলে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘যখন কেউ মামলা করে, মামলা করাটা মানুষের অধিকার। ব্যক্তিগতভাবে একজন মামলা করে দিলো। এই মামলাগুলো পুলিশ করেনি, পুলিশ যদি করে তাহলে বুঝবেন এটার সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত আছে। এ মামলাগুলো ব্যক্তিগতভাবে করা হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘একটা জিনিস সবাইকে বলার চেষ্টা করেছি, এফআইআর মানেই গ্রেপ্তার না। কিছু কিছু মানুষ যখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে, এই মামলা তার নামে হওয়ার কথা না। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করি। আমরা আশ্বাস দেয়ার চেষ্টা করি যে, পুলিশ বিশ্বাসযোগ্য তথ্য না পেলে আপনাদের গ্রেপ্তার করবে না।’