হঠাৎ করেই সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। বেশ কিছুদিন আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল এই দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন।
তবে এ নিয়ে চুপ ছিলেন এই তারকা। এর আগেও গত কয়েক বছরে দেশের বেশ কয়েকজন তারকার বিবাহবিচ্ছেদের কথা শোনা গেলেও তাঁরা চুপ ছিলেন। পরে এই তারকারা ফেসবুকে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন।
ঢালিউডে ভাঙা গড়ার খেলা চলছে। একের পর এক তারকার সংসার জীবন ভেঙে তছনস। এবার আরিফিন শুভর বিয়ে ভেঙে গেল। সাড়ে ৯ বছর সংসার করার পর এক ছাদের নিচে বাস করার পর্ব চুকিয়ে ফেলেছেন এই নায়ক।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই নায়ক বিয়ে করেছিলেন কলকাতার মেয়ে অর্পিতা সমাদ্দারকে। সাড়ে নয় বছর পর গত ২০ জুলাই তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। ৩১ জুলাই রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন নায়ক নিজেই।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত জীবনের এ খবর জানানোর জন্য দ্বিধা ও সংকোচ ছিল বলে উল্লেখ করেন আরিফিন শুভ। তিনি বলেন, ‘দেশের এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত কোনো কিছু জানাতে যথেষ্ট দ্বিধা ও সংকোচ বোধ করছি, তারপরও মনে হলো আপনাদের বিষয়টা জানানোর সময় এসেছে।
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, আমি আর অর্পিতা আমরা হয়তো বন্ধু হিসাবেই ঠিক আছি, জীবনসঙ্গী হিসাবে নয়। আমরা গত ২০ জুলাই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, বন্ধুত্বটুকু নিয়ে দুজনের সম্মতিতে বাকি জীবন নিজেদের মতো করে বাঁচব।’
প্রাক্তনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ঋণ স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পরও অর্পিতা আমার এবং আমার মায়ের জন্য যা করেছেন, সেটার জন্য তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ এবং চিরঋণী।’
ব্যক্তিগত জীবনের এ কঠিন সময়ে ভক্তদের উদ্দেশ্যে শুভ বলেন, ‘মা চলে যাওয়ার পর জীবনটা একেবারেই শূন্য হয়ে গেছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমার সঙ্গে আছে, যেটা নিয়ে বাকি জীবনটা সুন্দর ও সুস্থভাবে বাঁচতে পারব।’
দেশের সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনের ঘটনা নিয়েও কথা বলেছেন এ ঢালিউড নায়ক। শুভ বলেন, ‘দেশের সাম্প্রতিক ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। সবার জীবনে শান্তি আসুক, দেশেও শান্তি ফিরে আসুক এই কামনা।’
প্রসঙ্গত, কলকাতার মেয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার অর্পিতা কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকতেন। ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শুভর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।