সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজধানীতে নেমেই মেট্রোরেলকে বেছে নিচ্ছেন। যানজট, ভিআইপি মুভমেন্ট ও সড়ক বন্ধের ভোগান্তি এড়িয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই জানাজাস্থলে পৌঁছাতে তাদের এ উদ্যোগ।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক নেতাকর্মী লোকাল বাস, মোটরসাইকেল কিংবা ব্যাটারিচালিত রিকশাতেও অতি তাড়াতাড়ি জানাজাস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটছেন। সবারই লক্ষ্য একটাই, দুপুর ২টার আগেই জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছাতে হবে ও নির্ধারিত সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে হবে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও ট্রেনে ঢাকায় নেমে যানজট এড়ানোর জন্য এবং দ্রুত জানাজাস্থলে পৌঁছানোর জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ মেট্রোরেলকেই সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মরদেহ জাতীয় পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে করে গুলশানে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে জানাজার জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িবহর তারেক রহমানের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা থেকে বের হয়।
গাড়িবহরে লাল সবুজ রঙের বাসটিও রয়েছে। তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান, ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা বাসে রয়েছেন।
জানাজা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশেই বেগম খালেদা জিয়া চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ।
সুষ্ঠুভাবে জানাজা সম্পন্ন করতে এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীতে মোতায়েন করা হয়েছে ২৭ প্লাটুন বিজিবি ।
গতকাল ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া ।
তার মৃত্যুতে ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি (বুধবার থেকে শুক্রবার) পর্যন্ত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া বুধবার সারাদেশে থাকছে এক দিনের সাধারণ ছুটি ।

