আজ অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দেশের সীমান্ত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবির ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে বলেছেন, সীমান্তে মাদকের বিরুদ্ধে একশন নিতে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। মাদক ও চোরাচালানে যেসব কর্মকর্তা সহযোগিতা করবে, তাদের কাওকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলী ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী যেন পার না হতে পারে, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, আমাদের সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকে বিজিবি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনকল্যাণমূলক কাজে অনন্য ভূমিকা রাখছে। বিজিবির উন্নয়নে অব্যাহত রয়েছে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা। তাই জাতীয় স্বার্থকে সমন্বিত রেখে সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় অত্যন্ত ‘ন্যানো পন্থায়’ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সীমন্ত দিয়ে কোনো মাদক প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে হবে।
তিনি এই বিষয়ে বলেন, একটি বিষয় সবসময় খেয়াল রাখবেন- ট্রেনিং, ডিসিপ্লিন ও ওয়েলফেয়ার- এই তিনটিই কিন্তু পাশাপাশি চলতে হবে। ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার কম্প্রোমাইজ করা যাবে না, ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রেও কোনো প্রকার কম্প্রোমাইজ করা যাবে না এবং অধীনস্থদের ওয়েলফেয়ারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে সবসময়।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্বার্থ শতভাগ রক্ষা করতে হবে।
সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

