নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছে অস্ত্র রাখার সঙ্গে আচরণবিধির কোনও বিরোধ নেই। প্রয়োজনে নির্বাচনী আচরণবিধি সংযোজন বা বিয়োজন করা হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়নি।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রোজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা বলেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, ইইউ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইসির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আসবে। দলটির নেতৃত্বে থাকবে আইভার্স ইজাবস। মোট ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক আসবেন।
ইসি সচিব আরও বলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী পর্যবেক্ষক দলটিকে সুবিধা দেয়া হবে। তবে তাদের প্রটোকল মানতে হবে। এ সময় কিছু ইকুইপমেন্ট তারা নিয়ে আসবেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনার পর গত সোমবার রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের নীতিমালা জারি করে সরকার।
লাইসেন্স প্রাপ্তির যোগ্যতা হিসেবে এতে বলা হয়, সরকার কর্তৃক স্বীকৃত রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করা ব্যক্তি, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থেকে যাচাইকৃত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা এবং অস্ত্র সংরক্ষণের নিরাপদ ব্যবস্থা থাকলে তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান শিথিল করা হবে।

