চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) শিক্ষার্থীদের সংগঠন বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব এবার পরিবেশ ও প্রাণিজগতের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে থার্টিফার্স্ট নাইটে সকল ধরণের আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ করার দাবী জানিয়েছে।
আজ ১৩ ডিসেম্বর রোজ শনিবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধের দাবিতে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘Sky Lanterns kill nature’, ‘Fireworks cause the death of thousands of birds’, save birds’, ‘Our joy causes them pain’, ‘Ban fireworks, ‘One fire hazard can burn a thousand dreams’, প্রভৃতি লেখাসহ আরও অনেক ধরণের প্ল্যাকার্ড ছিলো।
মানববন্ধনে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুসের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এসব আতশবাজি একই সাথে শব্দ ও বায়ুকে দূষিত করে। ইতিপূর্বে এক থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজির শব্দে হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয়। আতশবাজির প্রভাবে প্রতি বছর শত শত পাখি মারা যায়। আমাদের সাময়িক আনন্দের জন্য পাখিদের জীবন তছনছ করাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আমরা বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মো. সামিউর রহমান বলেন, আতশবাজি ও ফানুসের কারণে বাতাসে ভারী ধাতু; ক্যাডমিয়াম, সিসা, সালফার ও অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের ক্ষুদ্র কণা অপরিমিত পরিমাণে মিশে। এটি ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
মানববন্ধনে শহীদ ফরহাদ হোসেন হল সংসদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আতশবাজির উচ্চ শব্দ হৃদরোগে আক্রান্তদের ক্ষতি এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। আতশবাজি হাজারো পাখির মৃত্যুর কারণ। আমাদের আনন্দে ওদের কষ্ট হয়। এ ধরনের বর্বর আনন্দ আমরা বন্ধের দাবী জানাই।’

