বাংলাদেশে একাধিক ভূমিকম্পের অনুভূত হওয়ার পর এই অঞ্চলজুড়ে ঝুঁকি বেড়েছে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার। এরই মধ্যে মিয়ানমার উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, আজ ২৩ নভেম্বর রোজ রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে অনুভূত হয় ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প। এই ঘটনায় এখনও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মূলত, আন্দামান সাগরে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। এক সপ্তাহের মধ্যে অঞ্চলে এটি দ্বিতীয় বড় ভূমিকম্পের ঘটনা, যা ভূতাত্ত্বিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি নিয়ে জনমনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের দাওয়েই শহর থেকে প্রায় ২৬৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, আন্দমান সাগর এলাকায়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগে বাংলাদেশে শুক্রবার ও শনিবার কয়েক দফা ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পটি শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত হয়। এতে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা। ওই ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী।
নাটকীয়ভাবে পরদিন একই সময়ে নরসিংদীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয় । নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে অনুভূত হয় ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে তখন এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।
একই দিন ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার এবং এর এক সেকেন্ড পর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ৪ দশমিক ৩। একটির উৎপত্তিস্থল বাড্ডায়, আরেকটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী।

