আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। তবে সে তালিকায় নেই বিএনপির বিএনপির সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রুমিন। গতকাল দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টক-শোতে এ বিষয়ে খোলামেলা বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি এই বিষয়ে বলেন, এখনো বিএনপির ৬৩টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণা বাকি রয়েছে। এই আসনগুলোর বেশিরভাগই দাবি করা হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে । আমরা এখন এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি, যারা বাস্তবিকভাবে জয়ের সম্ভাবনা রাখেন।
রুমিন ফারহানা নিজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আপাতত তার মনোনয়নও স্থগিত আছে, এবং এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, এখন বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন করা ও আসন ভাগাভাগি নিয়ে সক্রিয় আলোচনার মধ্যে আছে। বিশেষ করে গত ১৫ বছর ধরে যারা নানা প্রতিকূল অবস্থায়ও বিএনপির পাশে ছিলেন, তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আলোচনা চলছে নতুন কিছু দলের সঙ্গেও সমঝোতার । জোটের স্বার্থে কিছু আসনে ছাড় দেওয়া হতে পারে।
তিনি জানান, প্রার্থীদের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাধিকবার বৈঠক করেছেন এবং মনোনয়ন বণ্টনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করেছেন সবাইকেই। ৩০০ আসনের মধ্যে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব কেবল ৩০০ জনকেই। এবার যারা মনোনয়ন পাননি, ভবিষ্যতে তাদের অন্য দায়িত্ব বা সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
মনোনয়ন না পাওয়া নেতাকর্মীদের আবেগের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, নেতাকর্মীদের ত্যাগ, শ্রম ও ভালোবাসার ফলেই একজন প্রার্থী হিসেবে কেউ সামনে আসতে পারেন। তাই তাদের মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক, আর এই আবেগকেও সম্মান করা উচিত।
স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ানোর প্রবণতা এবার ঠেকানো সম্ভব হবে কিনা, এমন প্রশ্ন করা হলে এর জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, এখনই কিছু বলা কঠিন। কারণ, এখনো ৬৩টি আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি। দলের মহাসচিবও বলেছেন, প্রাথমিক তালিকা পরিবর্তন হতে পারে–নতুন কেউ যুক্ত হতে পারেন, কেউ বাদও পড়তে পারেন।
তিনি আরও জানান, কিছু আসনে নির্বাচন কমিশনের রায়ের অপেক্ষায়ও রয়েছে বিএনপি।

