একবার ভাবুন তো, প্রকৃতি নিজেই যেন বানিয়েছে এক নিখুঁত ইনজেকশন যন্ত্র– তাও আবার জীবন্ত!
ঠিক তেমনই হচ্ছে র্যাটলস্নেকের দাঁত। এটি দেখতে সরু, চকচকে, আর অবিশ্বাস্যভাবে ধারালো। কামড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখের ভেতরের বিশেষ পেশি বিষগ্রন্থিকে চেপে ধরে, আর দাতের ভেতরের ক্ষুদ্র নালির মাধ্যমে বিষ ঢুকে যায় শিকারীর দেহে। যেন প্রকৃতির তৈরি এক নিখুঁত সিরিঞ্জ!
এই দাঁত প্রায় ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। মুখ বন্ধ করলে তা পেছনের দিকে ভাঁজ হয়ে যায়, যাতে পরের আঘাতে কোনো বাধা না পড়ে। আরও বিস্ময়ের ব্যাপার হলো–র্যাটলস্নেক তার এই দাঁত জীবনের বিভিন্ন সময়ে বারবার বদলাতে পারে। ফলে প্রতিবারই তার বিষদাঁত থাকে একদম নতুন, ধারালো এবং প্রাণঘাতী।
বিজ্ঞানীরা বলেন, এই দাঁত শুধু শিকার ধরার অস্ত্র নয়, বরং টিকে থাকার এক অনন্য কৌশল। আর তাই র্যাটলস্নেকের মুখে লুকিয়ে আছে এক ভয়ঙ্কর অথচ নিখুঁত জৈব প্রকৌশলীর সৃষ্টি।