অবসরে যাওয়া ও ছুটিতে থাকা শিক্ষকদের নামে পরিদর্শকের ভাতার টাকা তুলেছেন সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষকেরা। এক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন ভুয়া নাম ঠিকানা। সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার পরিদর্শকের ভাতা তোলায় ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এ বছর 8 আগস্ট রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগের জন্য এমসিকিউ পরীক্ষা হয় । 2520 জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে 35 টি কক্ষে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রায় 1 লাখ 80 হাজার টাকা দেয় নির্বাচন কমিশন। পরীক্ষার এক ঘন্টা ডিউটির জন্য প্রতিজন শিক্ষকেরা 1500 টাকা করে নেন। কিন্তু বরাদ্দের টাকা বেচে যাওয়ায় ভুয়া তালিকা দেয় সিদ্ধেশ্বরী কলেজের পরীক্ষা কমিটি।
এই ভুয়া তালিকায় ছিল–অবসরে যাওয়া, আমেরিকায় থাকা এবং মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা শিক্ষকদের নাম। এর বাইরেও কিছু ভুয়া নাম জমা দেয় কমিটি। সিদ্ধেশ্বরী কলেজের জমা দেয়ার তালিকায় আছেন অবসরে যাওয়া ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নাতাশা সরকার, প্রাণীবিজ্ঞানের সাবিনা মিতা সহ অন্তত পাঁচজনের নাম।
বিদেশে থাকা সামন্তি মৃধা সহ দুই জনের নাম আছে এই তালিকায়। আর ডিউটি না করে তালিকায় নাম উঠেছে ইংরেজি বিভাগের ফাতেমা আমিন ও বাংলার ফেরদৌস ভুঁইয়া সহ অন্তত ছয় জনের নাম। এছাড়া সাত জন শিক্ষকের ভুয়া নাম দিয়ে টাকা উঠিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ
এই বিষয়ে সিদ্ধেশ্বরী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগ প্রধান আমিনুল ইসলাম বলেন,
“ভৌতিক নাম দিয়ে বাহিরে কারো নাম দিয়ে বা রিটার তাদের নাম দিয়ে লিস্টটা করতে হয় এটা আমরা বুঝি নাই।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন স্যারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, “নারজিয়া হোসেন এই মুহূর্তে ইউএসএ তে আছেন, সামন্তি মৃধা অস্ট্রেলিয়াতে আছেন। ইংলিশের তিনজন ম্যাডাম কোনদিন উনারা ডিউটি করেন নাই। উনাদের নামেও বিল করা হয়েছে। ইভেন আমাদের বাংলার টিচার ফেরদৌস স্যারের নামও বিল করা। উনি ডিউটি করেননি।”
নিয়োগ পরীক্ষায় আট থেকে 10000 টাকা নিয়েছে কমিটির সদস্যরা। অধ্যক্ষ বলছেন, প্রাপ্ত টাকা সমন্বয় করতে এমন তালিকা সবসময় দিয়ে থাকেন।
সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জুলহাস উদ্দিন কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সাথে আমার যেভাবে কথা হয়েছে আমরা সেভাবে কাজ করেছি।”
ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ রুহুল আমীন বলেন, “কমিটির যত পরীক্ষা, যত নিয়োগ পরীক্ষা এই একইভাবে ওনারা এই টাকাগুলো অতীতে পেয়েছে এবং একইভাবে নিয়েছে এবং আমরা সমস্ত শিক্ষক একইভাবে পেয়েছি”
নির্বাচন কমিশন বলছে পরীক্ষার নামে আর্থিক অনিয়মের দায় কলেজ কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে
Tasin/Digital Khobor