যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে আওয়ামী লীগের হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিব্র কড়া ভাষায় মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ হামলার বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান ও পদক্ষেপ দেখতে চেয়েছে এনসিপি।
আজ ২৬ আগস্ট রোজ মঙ্গলবার এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি এমনটা জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়য়, “জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছে- যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা করেছে গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীরা। একইসাথে কনস্যুলেট অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে তারা একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর সরাসরি সহিংস আক্রমণ করেছে।”
সেখানে আরও বলা হয়, “জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও তাদের ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী ও মাফিয়া চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। তারা শুধু জুলাই গণহত্যাকে অস্বীকার করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক পরিসরেও জারি রেখেছে।এনসিপি এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং কনস্যুলেট অফিসে হামলার ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ সকল আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে।”
এ বিষয়ে বিজ্ঞপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “সম্প্রতি টকশো, সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা ও জুলাই গণহত্যাকে স্বাভাবিকীকরণের যে অপপ্রয়াস চলছে কনস্যুলেট হামলা, কলকাতায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় স্থাপন ও বিভিন্ন ফোরামে অভ্যুত্থানকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উপস্থাপন- সবই আওয়ামী সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা ও বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ বলে আমরা মনে করি।আমরা আরো উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিবাদ কিংবা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমরা এই বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান ও পদক্ষেপ দেখতে চাই।”
বিজ্ঞপিতে আরও জানানো হয়,”আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, আওয়ামী লীগের সহিংস কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে এটিকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। পাশাপাশি, এই সন্ত্রাসীদের তথ্য ও প্রমাণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করতে অভ্যুত্থানের শক্তি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানাই।”
Tasin/Digital Khobor