২ জুন ২০২৫:
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক সংসদ সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক প্রশ্ন তুলেছেন যে, এখনও পর্যন্ত কেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক সেখানে বলেন,
“তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ করা সম্ভব ছিল তিন মাসেই । অথচ সাড়ে নয় মাস এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে, তবুও কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ নেই আগামী নির্বাচনের ।”
এই সভার মূল বিষয়টি ছিল:
“শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র।”
সভায় ফারুক বলেন,
“প্রধান উপদেষ্টা শাহাবুদ্দিন আহমদের কথা আপনারা কি ভুলে গেছেন? তিনি নির্বাচন সম্পন্ন করেছিলেন মাত্র তিন মাসে । একটি জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছিল ড. ইউনূসের নেতৃত্বে , এখন সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই বিলম্ব কেন হচ্ছে? এই জাতীয় ঐক্য কার কথায় বিনষ্ট হচ্ছে?”
তিনি এই নিয়ে যুক্তি তুলে ধরে বলেন,
“আমরা আমাদের সিনিয়র নেতাদের মুখে প্রতিদিন নির্বাচন দাবির কথা শুনছি। কিন্তু এটা তো বারবার বলার কথা নয়। নির্বাচন হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন রাষ্ট্রের নিয়মিত ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সেটি তো বারবার দাবির বিষয় হওয়ার কথা নয়।”
ফারুক ড. ইউনূসের প্রতি প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বলেন,
“আপনাকে আমরা বেসিক কাজগুলো করার জন্যই দায়িত্ব দিয়েছি। আমাদের অনেক আস্থা ছিল আপনার ওপর । কিন্তু এখন ধ্বংস করা হচ্ছে আমাদের সেই আস্থা । এটি কারা করছে আর কেন করছে তা খুঁজে বের করতে হবে আপনাকেই ।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই, এটা বলছি না। আমরা চাই যেই দল একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে, সেই এর পর দেশ চালাবে। তখন তারাই বন্দর, করিডর কিংবা আন্তর্জাতিক চুক্তি হবে কি না তা ঠিক করবে ।”
ফারুক বলেন,
“নির্বাচন কমিশন শাহাবুদ্দিন সাহেব সংস্কার করে এবং প্রশাসন পুনর্গঠন করে নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছিলেন। ড. ইউনূসও যদি এমনটা চান তবে তিনিও তা করতে পারবেন। কিন্তু তার চারপাশে থাকা কিছু লোক হয়তো তাকে সঠিকভাবে পরামর্শ দিচ্ছে না।”
Tasin/DBN