আজ ২৫ মে রোজ রবিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম রাজধানীতে ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত “সিএমজেএফ টক” অনুষ্ঠানে জানান, পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধিক কার্যকর এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই সরকার ৩ মাসের জন্য গঠিত হয়নি, বরং বৃহৎ পরিসরের নানামুখী সংস্কার ও প্রশাসনিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।”
প্রেস সচিব সবাইকে আশ্বস্ত করেন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সরকার জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে এবং এ বিষয়ে সরকার কোনো বিদেশি চাপের মধ্যে পরে নেই। তিনি আরও বলেন, “একজন এক কথার মানুষ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করার ।”
সরকার অর্থ পাচার বা মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতি মাসেই মানি লন্ডারিং বিষয়ক বৈঠক করেন। সরকার এ বিষয়ে এখন বসে নেই, বরং খোঁজ করছে সক্রিয়ভাবে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদের এবং সেসব সম্পত্তি ক্রোকের উদ্যোগ নিচ্ছে।”
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বন্দরকে হস্তান্তরের প্রশ্নই আসে না বলে শফিকুল আলম নিশ্চিত করেন । তিনি এই বিষয়ে বলেন, “আন্তর্জাতিক বড় বড় কোম্পানিকে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, তবে কাউকে বিক্রি করা হচ্ছে না বন্দর।”
তিনি অতীত সরকারের বিষয়ে বলেন, “যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হাসিনার সময়ে গঠন করা হয়েছিল, বর্তমানে সেগুলোর অধিকাংশই অচল অবস্থায় পরে রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বা ‘এফিসিয়েন্সি’ না থাকা এই বিষয়টির প্রধান কারণ । সরকার এখন এফিসিয়েন্সি বাড়াতে নানান রকম উদ্যোগ নিচ্ছে।”
প্রেস সচিব শেয়ারবাজার নিয়ে বলেন, “শেয়ারবাজার এক সময় হয়ে উঠেছিল ডাকাতদের আড্ডাখানা। লাভবান হতো কোনো না কোনো গোষ্ঠী, ক্ষতিগ্রস্ত হতো সাধারণ বিনিয়োগকারীরা । এখন সরকার গভীর সংস্কার চালাচ্ছে সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কোন কিছু জোড়াতালি দিয়ে করা হচ্ছে না। এই সংস্কারগুলো এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর কোনোরকম স্বার্থ না রক্ষা হয়। একটি টেকসই এবং স্বচ্ছ পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
Tasin/DBN