৩১ মে ২০২৫:
আজ শনিবার রাজধানীতে বিএনপি-সমর্থিত কৃষক দলের এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেছেন, রাজনৈতিক সংস্কারের নামে ‘দেখনদারি’ ও ‘প্রহসন’ চলছে । তিনি বলেন,
“সংস্কারের নামে কলা ঝোলানো হচ্ছে অর্থাৎ, জনগণকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে প্রকৃত পরিবর্তনের বদলে লোকদেখানো উদ্যোগ গ্রহণ করে।”
জনগণের দাবি, আগামী নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দিতে হবে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ
তিনি পরিষ্কার করে বলেন,
“আগামী নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেই দিতে হবে। এটা শুধু বিএনপির একার কথা নয়, এটা এদেশের জনগণের দাবি। কোনো যৌক্তিক কারণ নেই এই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ।”
তিনি আরও বলেন,
“যদি ডিসেম্বরের পরে সত্যিই নির্বাচন দেওয়ার কোনো যুক্তি থাকে, তাহলে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুক অন্তর্বর্তী সরকার । আমরা সেটা শুনতে চাই, সেই বিষয়গুলো জানতে চাই যে তাদের দেরির পেছনে আসল যুক্তিটা আসলে কী?”
আসন্ন ২ জুন এক ‘আলোচনার আমন্ত্রণ’ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,
“আমাদেরকে যমুনায় আলোচনা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাদের আনুষ্ঠানিকতার ঘাটতি নেই। কিন্তু বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। সবই হচ্ছে লোক দেখানো। এসব আর জনগণ বিশ্বাস করে না।”
সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন যে,
“যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে গেছে গত ১৭ বছর ধরে , এখন তাদেরকেই দেশদ্রোহী ও বিদেশি এজেন্ট আখ্যা দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের এই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস একটি গোষ্ঠী মুছে দিতে চায়। তারা চায়, ফ্যাসিবাদ আবার যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে একটি মহল ফাটল ধরাতে চায় গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্যে । তারা চায়, বিরোধী পক্ষ যেন ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, যাতে সহজেই টিকিয়ে রাখা যায় তাদের ফ্যাসিবাদী শাসন ।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“এত সহজ নয়।এখন জনগণ রাজনীতির প্রকৃত রূপ চিনে ফেলেছে।জনগণ এখন রুখে দাঁড়াবে গণতান্ত্রিক ঐক্য ভাঙার যেকোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে ।”
Tasin/DBN