৩১ মে ২০২৫:
আজ শনিবার জাতির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায়; আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ বরদাশত করা হবে না এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন,
ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন না হলে জনরোষ তৈরি হবে, আর গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করার চেষ্টা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
সভায় বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, বিশিষ্ট নাগরিক এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানকার আলোচনায় আমীর খসরু বলেন,
“নির্বাচনের দেরি হওয়া মানেই জনরোষ সৃষ্টি হওয়া। আর কোনো অনৈতিক নির্বাচন দেশের মানুষ দেখতে চায় না। তারা চায় সুষ্ঠু ভোটাধিকার , দেশের মানুষ চায় স্বচ্ছ গণতন্ত্র ।”
তিনি আরও বলেন,
“গণতন্ত্রের পথ যদি কেউ রুদ্ধ করতে চায়, তবে তাকে প্রতিরোধ করা হবে এই দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়েই । কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দেশে টিকবে না দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে ।”
আমীর খসরু অন্যান্য দলগুলোকে ইঙ্গিত করে বলেন,
“৫ আগস্টের পরে কোনো দল যদি রাজনীতিতে আসে, তাহলে বোঝা যায় যে তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ নয়, বরং তারা বিশেষ প্রক্রিয়ায় এসেছে , তারা এসেছে কোনো নির্দিষ্ট শক্তির ছত্রচ্ছায়ায়।এই দলগুলো হচ্ছে একটি পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির অংশ। তারা এদেশের জনগণের প্রতিনিধি নয়। তারা এই গণতন্ত্রকে ভয় পায়। কারণ, এদের অস্তিত্ব থাকবে না সত্যিকারের নির্বাচন হলে ।”
ডিসেম্বরেই গণতন্ত্রের পক্ষের ৫২টি দল নির্বাচন চায় জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই এই দেশের ৫২টি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন দাবি করছে।
“যারা এর পরও নির্বাচন চায় না, তারাই রাজনীতিতে এসেছে ৫ আগস্টের পর । জনগণ রাজনীতিতে আসা এসব দলকে চেনে না, তাদের গ্রহণ করে না। জনগণের মতে নির্বাচন এড়ানো মানেই দেশের গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করা”
খসরু আরও বলেন,
“যারা আগামী নির্বাচন এড়াতে চায়, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা পেছনের দরজার পথ খুঁজছে। তারা অবজ্ঞা করছে গণতন্ত্রকে । এসব বোঝে দেশের মানুষ । তারা চোখ-কান খোলা রেখেছে।”
তিনি বলেন,
“একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ । এর কোনো প্রকার বিকল্প পথ নেই। আর কৃত্রিম পদ্ধতিতে এই দেশ টিকতে পারবে না।”
Tasin/DBN