বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দাফনের জন্য এবার কবর খোঁড়ার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে, স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে খোঁড়া শুরু হয়েছে খালেদা জিয়ার কবর ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে কবরের মাপজোক করতে দেখা গেছে।
এদিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে তার স্বামী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হবে। খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে দাফন করা হবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পাশে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন খালেদা জিয়া, কারাভোগ করেছেন। চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হয়নি। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেগম জিয়া। এরপর করোনার কারণে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিলেও গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় বন্দি রাখা হয়।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঠিকমতো চিকিৎসা না পাওয়ায় ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ আরও নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় খালেদা জিয়ার।
এরমধ্যে ২০২৪ সালের জুলাইতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয় , যার শেষ পরিণতি হয় সরকার পতন। টানা ৩৫ দিনের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে পর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় । পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তি দেন ।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। তার স্বাস্থ্যের অনেকটা উন্নতি হয়েছিল। তবে নানা রোগে জটিলতা ও শরীর–মনে ধকল সহ্য করে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। বয়সও ছিল প্রতিকূল। প্রায়ই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হতো।
সবশেষে গত ২৩ নভেম্বর তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক মাসের কিছু বেশি সময় তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

