দেশে যদি কোনো গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হয়, তবে সেই দায় প্রধান উপদেষ্টার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাওয়ারী। তিনি আরও বলেন, পিছলা যায়গায় আরও বেশি তেলমর্দন করেন আমাদের আইন উপদেষ্টা। উনি রাজনীতিবিদদের শুধু পিছলা খাওয়াতে চান।
আজ ৩০ অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন এনসিপি–র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাওয়ারী।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে নাসীরুদ্দীন পাওয়ারী বলেন, দেশ অন্য পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিন। যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না দিতে পারেন, তাহলে পরবর্তীতে যদি কোনো গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হয় সেই দায়িত্ব আপনার কাঁধে বর্তাবে।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালার ড্রাফট প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশন সুপারিশমালা দিয়েছে। ড. ইউনূসের কোর্টে এখন বল। যেহেতু উনি আন্তর্জাতিক মানের একজন খেলোয়াড়, বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশে বিদেশি খেলোয়াড়রা খেলতে এলে তারা পিছলে যায়। কারণ বাংলাদেশের মাঠ পিছলা। কিন্তু এই পিছলা যায়গায় আরও বেশি করে তেলমর্দন করেন আমাদের আইন উপদেষ্টা। উনি রাজনীতিবিদদের শুধু পিছলা খাওয়াতে চান। আপনারা সুপারিশমালার ড্রাফট জনসম্মুখে আনুন, তখনই এনসিপি এতে স্বাক্ষর করবে।
এই এনসিপি নেতা বলেন, অস্পষ্টতার মধ্যদিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে ঠেলে দিতে পারব না। গণভোট আগে হবে, না হবে এটা জামায়াত ও বিএনপির কুতর্ক। এটা থেকে বেরিয়ে তাদের নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে। আর বিএনপির জন্ম হয়েছিল ‘হ্যাঁ’ ভোটের মধ্যদিয়ে। বিএনপি যদি ‘না’ ভোটে স্ট্রিক্ট থাকে, তাহলে বিএনপির মৃত্যু হবে ‘না’ ভোটের মধ্যদিয়ে। বিএনপি একটি বড় দল, আমরা বলব, ‘না’ ভোটের মধ্যদিয়ে নিজেদের মৃত্যুর কবর রচনা করবেন না।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে কোনোভাবে মেনে না নেওয়ার কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাওয়ারী। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। অনেকেই বলেছিলেন আওয়ামী লীগের ৫ লাখ নেতাকর্মীর প্রাণ যাবে। আমরা কিন্তু আওয়ামী লীগের গায়ে হাত দেইনি। কিন্তু তারা যদি বাঁধা দিতে আসে, কঠোরভাবে প্রতিহত করব।

