আজ ৩০ জুন রোজ সোমবার সকালে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে। একইসাথে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এই মামলায় অভিযুক্ত আরও অন্যান্য ২৬ জনের বিরুদ্ধে , মোট ৩০ জন ।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবু সাঈদকে । অভিযোগ উঠে আসে, আবু সাঈদকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। সেই সময় এই ঘটনাটি দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভ ও আলোড়ন ছরায়।
১৩ জানুয়ারি ২০২৫ সালে সাঈদের পরিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তাদের দীর্ঘ তদন্ত শেষ করে তারা ৩০ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগপত্র হস্তান্তর করে প্রসিকিউশনের কাছে । এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেনঃ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) হাসিবুর রশীদ বাচ্চু, সাবেক প্রক্টর ড. শরীফুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ রংপুর জেলা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কনস্টেবল
অভিযোগপত্রের তালিকায় আরও রয়েছেন কারাবন্দী ৪ জন
তারা হলেন:পুলিশ পরিদর্শক আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী
বর্তমানে এই মামলার বাকি ২৬ জন অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেনঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা, পুলিশের অন্যান্য সদস্য, আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা।
তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবু সাঈদের পরিবার জানায়, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা সাঈদের হত্যার বিচার চেয়ে এসেছি। অবশেষে আইনি প্রক্রিয়ায় কিছু অগ্রগতি দেখে আমাদের মনে হচ্ছে হয়তো সুবিচার পাওয়া সম্ভব।”
ট্রাইব্যুনালের মামলার চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড ছিল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় সংঘটিত একটি নৃশংস অপরাধ। এটি নিছক ব্যক্তিগত শত্রুতার নয়, বরং বড় একটি ষড়যন্ত্রের ফল। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
Tasin/DBN