ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫:
আজ বুধবার রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, “আমরা সহযোগিতা করে যাচ্ছি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এবং ভবিষ্যতেও করবো এই আশায় যে তারা সঠিক পথে হাঁটবেন এবং সময়মতো সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা না করেন, তাহলে পালিয়ে বাঁচা সম্ভব হবে না দেশের বিক্ষুব্ধ তরুণ সমাজের আন্দোলন থেকে ।”
v
ড. মঈন খান সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়ে বলেন,
“এখনো থেমে যায়নি আমাদের আন্দোলন ।বরং বিজয়ের দ্বিতীয় পর্বে আমরা প্রবেশ করেছি। বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র চায়, দমন-পীড়ন চায় না। তাই অবিলম্বে একটি দ্রুত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যদিতে হবে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ।”
তিনি মনে করিয়ে দেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিএনপি প্রথম বিজয়ের স্বাদ পেয়েছে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ।
মঈন খান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব তরুণরা জেগে উঠেছে দাবি করে বলেন,
“গণতন্ত্রকে যারা ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, আজকের তরুণ প্রজন্মের চোখে তারা স্বৈরাচার ছাড়া কিছু নয়।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে পরিবর্তনের প্রধান শক্তি হচ্ছেন তরুণ ছাত্রসমাজ। তারুণ্যের এক বিরাট স্রোতধারায় রূপ নিয়েছে নয়াপল্টনের আজকের এই সমাবেশ।”
এ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশটি ।
এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
নেতারা সেখানে বলেন, কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয় এই তারুণ্যের সমাবেশ , বরং এটি হচ্ছে একটি রাষ্ট্রচিন্তার আন্দোলন। আগামী প্রজন্মকে এই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে তাদের কণ্ঠস্বর রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত করার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
Tasin/DBN