ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫
আজ বুধবার বিকেল বেলা রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে সরাসরি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “প্রতিপক্ষ বানাবেন না গণতন্ত্রের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ।” তিনি সেখানে আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে না জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা হারিয়ে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ।”
বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই সমাবেশ ।
নির্বাচন নিয়ে তারেক রহমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে কঠোর বার্তা জানিয়ে বলেন,
“রাষ্ট্র পরিচালনায় যদি কেউ আগ্রহী হন, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে তারপর জনগণের রায় নিয়ে আবার আসুন। রাষ্ট্রক্ষমতাকে জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে আঁকড়ে ধরা গণতন্ত্র নয়, স্বৈরতন্ত্রের প্রকাশ।”
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা ও সংস্কারের নামে নাটকীয়তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন,
“আজ জাতীয় নির্বাচন কথিত অল্প সংস্কার ও বেশি সংস্কারের অভিনব আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে।”
তিনি ইঙ্গিত করেন যে, গণতন্ত্রের জন্য এ ধরনের ধোঁয়াশা হুমকি এবং জনআস্থার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
দেশের অগ্রযাত্রা এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেন,
“আমাদের হাতে একাধিক সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে । কিন্তু সেসব নির্বাচিত সরকারের অধীনে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তাই অবাধ, কোনো বিকল্প নেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের।”
তরুণদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,
“এই দেশ হচ্ছে তোমাদের, তোমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এই রাষ্ট্রব্যবস্থা । তাই ঐক্যবদ্ধ হও নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য ।”
এ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশটি ।
এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
নেতারা সেখানে বলেন, কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয় এই তারুণ্যের সমাবেশ , বরং এটি হচ্ছে একটি রাষ্ট্রচিন্তার আন্দোলন। আগামী প্রজন্মকে এই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে তাদের কণ্ঠস্বর রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত করার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
সমাবেশকে ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ । বিএনপির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও এর পাশাপাশি শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিল।
Tasin/DBN