আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাপানের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) আইনপ্রণেতাদের ভোটে দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। তবে তিনিই হতে চলেছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রান অফ ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় আবেগাক্রান্ত ইশিবা বলেন, “আমাদের অবশ্যই জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে, সত্য বলতে হবে, সাহসী এবং দায়িত্বশীল হতে হবে এবং জাপানকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঘোষণা দেন যে তিনি সরকারপ্রধান এবং নিজের রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সাংবিধানিকভাবে কিশিদার আরও ১৩ মাস সময় ছিল; কিন্তু দলের কয়েক জন আইনপ্রণেতার দুর্নীতি কেলেঙ্কারি এবং সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয়ে উল্লম্ফণ ঘটায় কিশিদা এবং তার দল এলডিপির জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছিল জাপানে। জুলাই মাসে এক জরিপে দেখা যায়, জাপানের মাত্র ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ কিশিদাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। মূলত ওই জরিপের ফলাফল প্রকাশের পরই সরকার ও দলীয়প্রধানের পদ থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এই মূহূর্তে ইশিবার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ দু’টি— জনসাধারণের জীবনযাত্রার ব্যয় সংকোচন এবং পররাষ্ট্র নীতি। পররাষ্ট্র নীতি তার জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ এই কারণে যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালে তিনি একাধিকবার বলেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর এশীয় সংস্করণের পক্ষে। যদি সত্যিই তিনি এই উদ্যোগ নেন, তাহলে বেইজিংয়ের সঙ্গে টোকিওর সম্পর্কের গুরুতর অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। আর বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে জাপানের সামনে অনেক নতুন সমস্যাসৃষ্টি করবে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।