নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম গণ-আন্দোলনের ক্ষেত্রে ‘মাস্টারমাইন্ড’ শব্দটির সঙ্গে একমত নন। তিনি জানিয়েছেন, তবে আন্দোলন এগিয়ে নিতে অনেকেই বুদ্ধি ও পরামর্শ দিয়েছেন।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
সম্প্রতি জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে নিজের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলন ও সরকার পতনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।
গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে ড. ইউনূস নিজের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলার ফাঁকে সফরসঙ্গীদের মধ্য থেকে মাহফুজ আলম ছাড়াও বাকি তিনজনকে পরিচয় করিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, যে আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, তাতে কোনো একক নেতৃত্ব ছিল না। সাধারণ মানুষ আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। পুরো আন্দোলনকে কয়েকজন মিলে পরিচালনা করতে হয়েছে। এ জন্য অনেকেরই বুদ্ধি-পরামর্শ নিতে হয়েছে। তবে আমরা একে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হিসেবেই দেখি।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও ছিলেন। এ আন্দোলনে একক কোনো নেতৃত্ব ছিল না। সাধারণ মানুষ আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে যার (মাহফুজ আলম) কথা বলা হয়েছে তিনি বিশেষভাবে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘তিনি (মাহফুজ আলম) বা আমরা কেউই এ মাস্টারমাইন্ড শব্দের সঙ্গে একমত নই। তিনি (ড. ইউনূস) শব্দটাকে হয়তো ভালোবেসে ব্যবহার করেছেন।’