শুধু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনই নয়, ক্ষমতায় গেলে ডক্টর ইউনুসকে বিএনপি সরকারের পাশে চেয়েছে তারেক রহমান। যদিও এই প্রস্তাবে কোন মতামত জানাননি তিনি।
এছাড়া তারেক রহমান ডক্টর ইউনুসের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে মৌলিক কিছু সংস্কারে বিএনপির প্রতিশ্রুতি আর জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিচার এগিয়ে নেয়া।
দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের ইস্যুতে ছাড় দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদকে নিরপেক্ষ আচরণ করার আহ্বানও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
দেড় ঘন্টার এই একটা বৈঠকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। ডিসেম্বর এপ্রিলের মাঝামাঝি ফেব্রুয়ারিতে ভোট করার বিএনপির প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকারও। শুধুই কি নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে এই একান্ত বৈঠকে?
ডক্টর ইউনুসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আগেই আলোচনা হয় দলের স্থায়ী কমিটিতে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, মৌলিক সংস্কারের কয়েকটি বিষয়সম্মতি আর বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে তারেক রহমানের উপর দায়িত্ব দেন দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম। বিএনপি স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য
জানিয়েছেন বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে ডক্টর ইউনুসের ইমেজ কাজে লাগানোর কথাও লন্ডন বৈঠকে আলোচিত হয়েছে।
এই প্রশঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন,
আগামীতেও আমরা উনার সহযোগিতা চাইবো এই প্রত্যাশাও আমরা করি এবং তাকে সেটা জানানো হয়েছে যে, যদি জনগণ আমাদেরকে দায়িত্ব দেন রাষ্ট্র পরিচালনা করার তাহলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এবং সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতি রাজনৈতিক চর্চা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা হাসি মুখে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন কিনা জানিনা। তবে তিনি মনে হয় সেগুলো গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন,
সংস্কার সেগুলোই হবে যেগুললাতে রাজনৈতিক দল এবং সরকার তত্ত্বাবধয় সরকার যেটাতে একমত হবে। এই সরকার আমলে যতটুকু সম্ভব করে নেবে। বাকিটা নির্বাচনের পরে যে নির্বাচিত সরকার আসবে তারা করবে। বিচারের ব্যাপারে তো আমাদের একটি চেয়ারম্যান তাকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টাকে যে বিএনপি সবচেয়ে বেশি সাফারার। সুতরাং আমরা যেখানে ভিকটিম আমরা তো নিশ্চয়ই দ্রুত তাদের বিচার করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
ডিসেম্বরে নির্বাচনের পাশাপাশি দুই ছাত্র উপদেষ্টাসহ তিনজনের পদত্যাগের দাবিও তুলেছিল বিএনপি। যদিও তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানকে দেখা গেছে। এর আগে যমুনায় বিএনপির সাথে বৈঠকে ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। নির্বাচনের সময় নিয়ে ছাড় দেয়ার পর এই দাবি নিয়ে কি ভাবছে এখন বিএনপি?
মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন,
তিনজনের ব্যাপারে আমরা এখনো অনর আছি। দেখা যাক কি করে। আমরা তাদেরকে প্রস্তাব দিয়েছি। এখন বল তাদের কোর্টে তারা কতটুকু কার্যক্রম নেবে এর উপরে সেটা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষায় রইলাম। হয়তো তাদের নাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু তাদের সাথে নিরপেক্ষ সরকার কথাটা লাগানো আছে। সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য অবশ্যই সরকারকে নিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখতে হবে। বিএনপি নেতারা বলেন, জাতির স্বার্থে সময়ের প্রয়োজনে কোন দল সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে তাদের খেসার দিতে হবে। পলিটিক্স ইজ আর্ট অফ কমপ্রমাইজ। আগে এই কালচারটা প্রচলিত ছিল না।
Tasin/DBN