চুলের রং বেছে নেওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন।অ্যামোনিয়াবিহীন প্রাকৃতিক চুলের রং ব্যবহার করুন।অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত হেয়ার ডাইয়ের পরিবর্তে চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক চুলের রং ব্যবহার করতে। এ ক্ষেত্রে মেহেদি ভালো বিকল্প। বাজারে অর্গানিক, পরিবেশবান্ধব হেয়ার ডাইও পাওয়া যায়। এতে মাথার ত্বকে রাসায়নিক পদার্থের নেতিবাচক প্রভাব তুলনামূলক কম। প্রাকৃতিক রং ত্বকের জন্যও উপকারী।
নিয়মিত চুল রং করার সবচেয়ে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো চুল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। বেশির ভাগ হেয়ার ডাই তৈরি হয় অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড জাতীয় তীব্র রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে যা মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে, চুল ভাঙতে শুরু করে। অনেকে চুল রং করার আগে চুল ব্লিচ করে নেন, নিয়মিত ব্লিচ করলে চুলের গোড়া ফেটে যেতে শুরু করে। এছাড়াও রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে গোড়া থেকে চুল পাতলা হতে শুরু করে। অ্যামোনিয়া–জাতীয় রাসায়নিক চুলের বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। চুলের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ও তেল অতি দ্রুত শুষে নেয়। ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে। আর পাতলা চুল সহজে ঝরে পড়ার আশঙ্কা বেশি।