অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে আগামী নির্বাচন বিপজ্জনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে রিজভি বলেন, যত ধ্রুত সম্ভব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে যাতে আগামী নির্বাচন কর্মসূচিতে কোন প্রকার প্রভাব না পড়ে।
আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “সংবিধান কিংবা আইন সংশোধন করবে নির্বাচিত সরকার।“
আজ ২৪ আগস্ট রোজ রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জিয়া পরিষদ’ আয়োজিত রিকশা ও ভ্যান চালকদের মধ্যে রেইনকোট বিতরন কর্মসূচীতে এ কথা বলেন রিজভি।
রিজভী আরও বলেন, “দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তরিকতা অভাব নেই। তবে, সুযোগ পেলেই ফ্যাসিবাদী শক্তি অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করবে।“
রিজভী বলেন, “জুলাই সদনের জন্য সুপারিশ আসবে, কিন্তু সেটার জন্য আইন ও সংবিধান সংশোধন করতে হয় তা নির্বাচিত সংসদ করবে। একটি রাজনৈতিক দল বলছেন, আগেই গণভোট দিতে হবে, কেন? যদি মূল নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন করতে হয়, মূল নীতিমালা অখণ্ড বিষয়, সেটা সংশোধন করা যায়, তবে সেটা করবে সংসদ। কিন্তু শেখ হাসিনার মতো যদি হয়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমার মতের মিল হয়নি, তাই তাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক পাঠিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওই ধরনের বৈশিষ্ট্য এবং আলামত এখন কেন থাকবে? যেই নিয়ম শেখ হাসিনা ভেঙেছে, সেটা তো আবার চালু করতে পারি না।”
কেও যেন গায়ের জোরে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে বাঁধা সৃষ্টি না করে সেই বিষয়ে হুশিয়ারি দেন বিএনপির এ সিনিয়র নেতা।
বক্তব্য শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে জিয়া পরিষদের পক্ষ থেকে রিকশা ও ভ্যান চালকদের মধ্যে রেইনকোট বিতরণ করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিএনপি শ্রমজীবী মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।
Tasin/Digital Khobor