জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টিসহ (বিআরপি) আরও ২২ রাজনৈতিক দল এগিয়ে রয়েছে নিবন্ধনের দৌড়ে । ইতোমধ্যে এই দলগুলোকে নির্বাচন কমিশন মনোনয়নের জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করার পর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), আম জনতার দল, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), ফরোয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সলুশন পার্টি ও নতুন বাংলাদেশ পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস)।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সকল সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং গঠনতন্ত্রের আলোকে সত্য তথ্য দিয়ে আবেদন পত্রের ওপর পর্যালোচনা করেই প্রাথমিকভাবে উপরিউক্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে।
এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নিবন্ধনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বিআরপি। দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক মন্তব্য করেছেন, এই দলটি দেশের ব্যাতিক্রমী সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দল।
তিনি আরও বলেন, “গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে এই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি । মব সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং তারা আর জনগণ এটি মেনে নিতে মোটেও প্রস্তুত নয়।“
বিয়ারপি মহাসচিব তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করে একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তবে তার আগে অবশ্যই রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে। “
এছারাও বাংলামোটরে নেতাকর্মীদের পদচারণায় সরব ছিল এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে । যদিও দলীয় মুখপাত্র সেই সময় অনুপস্থিত ছিলেন, তবুও নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জানা যায়, দেশের নানা সংকট কাটিয়ে উঠতে ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা অত্যান্ত জরুরি। তাই জনগণের ন্যায্য দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানান এনসিপির নেতাকর্মীরা।
Tasin/Digital Khobor