চট্টগ্রামে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।
গতকাল ২২ অক্টোবর বুধবার এ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হলে এনসিপি নেতারা সেখানে বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে যাতায়াত করতেন, তাদের কার্যক্রমও চলত সেখানে। এ নিয়ে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এনসিপির নেতাকর্মীরা স্থানীয় লোকজনের আহ্বানে ওই কার্যালয়ে যান।
এনসিপির চট্টগ্রাম নগর সমন্বয় কমিটি আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নগরের বিপ্লব উদ্যানে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে । এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এনসিপি চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন এবং মোহাম্মদ এরফানুল হক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন আওয়ামী লীগের অফিসের বিষয়ে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো ছিল সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত । কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি কার্যক্রম চলছে সেই অফিসগুলোতে , লাগানো হচ্ছে দরজা-জানালা , লোকজন আসা-যাওয়া করছে সেখানে। প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ব্যবস্থা নেয়নি।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরের নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার কার্যালয় দখল ও ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এর নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কর্মীরাও ছিলেন।
যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক ভাঙচুরের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও থেমে নেই রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড । বিনা ভাড়ায় ওই ভবন দখল করেছিল আওয়ামী লীগ । পাশাপাশি সেখানে পরিচালনা করা হতো বিভিন্ন অপকর্ম।