রায়েশা ইসলাম আপু গতকাল ইয়াবাখুরের কবলে পরে বিপদে পরতেই যাচ্ছিলেন । তার কিছু সতর্কতার কারণে এ যাত্রায় তিনি বড় এক বিপদ থেকে বেঁচে যান। তার বলা সম্পূর্ণ কথা নিচে ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হল।
জায়গা : খিলগাঁও তালতলা মোড় ।
সময়:১০টা।
আমি তালতলা থেকে বাসার জন্য রিক্সা নিচ্ছিলাম ১০টায় তখন এই লোকের সাথে দরদাম করছিলাম কথাপকথন ছিলো এমন-
আমি- মামা,প্রতিদিন ৫০ টাকায় আসি।
মামা – যাইতে ৫০ লাগে আসতে ৬০।
আমি তখন অন্যদিকে হেঁটে রিক্সা দেখছিলাম পরে সে ডাঁক দিয়ে বলে চলেন । উঠার পর পর বলা শুরু করল “ আপনার মতো যাত্রী আমি ছাড়ব? আপনার মতো সুন্দরী যাত্রীই তো খুজি”। আমি তখন কিছুটা আঁচ করতে পারি যে লোকটা নেশাগ্রস্থ । কিন্তু সিচুয়েশন এতোটা খারাপ আঁচ করতে পারিনাই।তখন লোকের কথা তেমন পাত্তা দিচ্ছিলাম । তবে সতর্কতার জন্য একটা ভিডিও করে রাখি এবং লাইভ লোকেশন শেয়ার করে রাখি । লোকটা একটু পরেই বলে যে আপনি যেহেতু প্রতিদিন যাতায়েত করেন আপনার নম্বরটা দেন আমি আনা নেওয়া করবো আমি বললাম দরকার নাই । পরে বলে যে কথাও বললাম কথা বলে ভালো লাগলো।আমি কোনো উত্তর দিলাম না।লোকটা আমাকে হটাৎ বলে যে আমি ইয়াবা বিক্রি করি।আগেই বলে রাখি এটা একটা মোটর রিক্সা আর সে মাত্রাত্রিক দ্রুত গতি বাড়িয়ে দিল। আমি বললাম, “আমি কী করবো তাতে ? আমাকে কেন বলছেন?”উনি জবাবে বলল,”যারা ইয়াবা খায় তাদের অনেক চাহিদা থাকে । ওইটা পূরণে ২০/৩০ হাজার টাকাও দেয়। আপনার লাগবে? আপনাকে ঐখানে নিয়ে যাচ্ছি”। আমি তখন চৌরাস্তার কাছাকাছি চিৎকার দিয়ে বললাম “এক্ষুনি রিক্সা থামান”। সে থামলো না। আমি চলন্ত রিক্সা থেকে লাফ দিলাম। সে রিক্সা থামতে বলল “১০টা টাকা দেন।” সাথে সাথে হাতে থাকা ফোন দিয়ে ছবি তুলতে তুলতে বলি তোকে আমি পুলিশে দিব। ছবি তোলা দেখে সে রিক্সা টান দেয়। কিন্তু লাইভ পিক হওয়ায় তার চেহারা চলে আসে।
আমি নামতে না পারলে আজকে আমার সাথে কী হতো আমি জানিনা। হয়তো কালকে পেপারের হেডলাইনে আমার নাম থাকত । আমার জায়গায় কালকে অন্য কারো সাথে এটা হতে পারে। সে হয়তো আমার মতো পোস্ট লিখার সুযোগটা পাবেনা। এই লোকটাকে যেখানেই পাবেন পুলিশে দিবেন । আমি নিজে যেয়ে ষ্টেটমেন্ট দিব।আর অন্যদেরকে জানায় দিবেন দয়া করে যেন এর শিকার আমি ,আপনি বা আপনার আপনজনরা না হয়।
কালেক্ট ফ্রম: রায়েশা ইসলাম আপু।