ইসরাইলের তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোররাতে তেল আবিবজুড়ে চালানো এই হামলায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
হামলার পর হুতি কর্মকর্তা হেজাম আল-আসাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একাধিক বিদ্রুপাত্মক পোস্ট করেছেন। এক হিব্রু ভাষার পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা প্রমাণ করে, সন্ত্রাসী শত্রুর কেন্দ্র এখন আর নিরাপদ নয়।”
অন্য একটি পোস্টে তিনি বলেন, “বিলিয়ন ডলার খরচ করেও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।” এছাড়া আরবি ভাষায় শেয়ার করা আরেক পোস্টে আল-আসাদ দাবি করেন, “ইসরাইল তাদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত এলাকাগুলো নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।”
হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিন ২’ নামে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র জাফা এলাকায় নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি থামাতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এটি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।” তিনি আরও জানান, “এই হামলা গাজায় আমাদের ভাইদের ওপর ইসরাইলি গণহত্যার পাশাপাশি ইয়েমেনে তাদের আগ্রাসনের প্রতিশোধস্বরূপ চালানো হয়েছে।”
এদিকে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জাফা এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ৩টা ৫০ মিনিটে মধ্য ইসরাইল ও আশপাশের এলাকায় রকেট সাইরেন বেজে ওঠে।
আইডিএফ জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। হামলার পর ইসরাইলি পুলিশ এক্সে পোস্ট করে জানায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল কাজ করছে। এলাকাবাসীকে নিরাপদে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তেল আবিবের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে সাইরেন বেজে ওঠে, কিন্তু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা থামাতে ব্যর্থ হয়।