২০ জুন ২০২৫:
আজ শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন,
“স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের রীতি পরিবর্তনই করাটাই হলো প্রকৃত রাষ্ট্র সংস্কার।” তিনি সেখানে আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা আমাদেরকে পিষ্ট করে রেখেছে, যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে শাসন কাঠামোর আমূল পরিবর্তন আনা।”
জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন রাশেদ খান আলোচনা সভায় বলেন,
“কোনো একক দলের নেতৃত্বে ছিল না সেই জুলাই আন্দোলন । এটি ছিল জনগণের অভ্যুত্থান। যেভাবে সবস্তরের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল ২০২৪ সালসহ পূর্ববর্তী আন্দোলনগুলোতে , এবারও তাই হয়েছিল। তাই এটি ছিল জনগণের যৌথ প্রতিরোধ।”
তিনি সেখানে আরও উল্লেখ করেন, “এই আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি যে, গণমাধ্যম সংস্কারের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না দশ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও।”
রাশেদ খান গণমাধ্যমের ভূমিকাকে সমালোচনা করে বলেন,
“শেখ হাসিনা একনায়ক হয়ে উঠেছিলেন গণমাধ্যমের তোষামোদ এবং পক্ষপাতমূলক রিপোর্টিংয়ের কারণেই । সেই ফ্যাসিবাদী সাংবাদিকতা আজও বহাল তবিয়তে চলছে। যদি গণমাধ্যম জনগণের কণ্ঠস্বর হয়, তাহলে তারা কেন প্রশ্ন তোলে না?”
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা ফিরিয়ে আনার, যা কাজ করবে গণতন্ত্রের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে ।
ছাত্ররাজনীতির অবনতি নিয়েও তিনি তীব্র সমালোচনা করে রাশেদ বলেন,
“মেধা ও চিন্তাচর্চার জায়গা থেকে আজ ছাত্ররাজনীতি সরে গিয়ে দখল, হুমকি ও হত্যা-কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এখন আর ছাত্ররাজনীতি করে না ছাত্রলীগ , তারা সহিংসতার রাজনীতি করছে । তাদের ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ ঘোষণার মতো ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি এক হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন,
“এক হিন্দু ব্যক্তিকে জবির গেটে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে কলঙ্ক হয়ে থাকবে ছাত্রলীগের এ ধরনের হত্যাকাণ্ড। ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসে গেছে “
আলোচনার শেষে তিনি বলেন,
“জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ ও সাংবাদিকদের একতার মতো, আজ দেশের সকল সচেতন মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক নতুন, ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।”
Tasin/DBN