জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে গভীর আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ ২০ ডিসেম্বর রোজ শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে এ আক্ষেপ প্রকাশ করেন হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আবু বকর সিদ্দিক আক্ষেপ করে আরও বলেন, দিবালোকে, প্রকাশ্যে রাজধানী ঢাকায় জুমার নামাজের পর একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হলো। অথচ খুনিরা সাত-আট দিন পেরিয়ে গেলেও ধরা পড়েনি। তারা যদি এ সময়ের মধ্যে দেশের সীমান্ত পার হয়ে যেতে পারে, তাহলে এটি জাতির জন্য চরম লজ্জার বিষয়।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টার মধ্যে তারা কীভাবে দেশ ছাড়ল—এই প্রশ্ন আমি জাতির কাছে রেখে গেলাম। আমার কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার ভাই ওসমান হাদি শহীদ হয়েছে। শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার নিজের মধ্যেই ছিল। আপনারা তার বক্তব্য শুনেছেন।
এ সময় তিনি দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
আজ দুপুর আড়াইটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে হাদির জানাজা শুরু হয়। এতে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ ।
এর আগে, আজ শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন হাদির স্বজন, সহযোদ্ধা ও সহকর্মীরা ।
এরপর বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ময়নাতদন্ত শেষে আবারো হাদির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে । তাকে সেখানে শেষ গোসল করানো হয়। গোসল শেষ করা হলে তার মরদেহ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার জন্য নিয়ে আসা হয়ন এবং যানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয় কবি নজ্রুলের কবরের পাশে।

