এ.এফ. হাসান আরিফ, যিনি ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিনি বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে মারা যান। তার মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ঘটেছে।
গত ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হাসান আরিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হাসান আরিফ ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি ১৯৭০ সালে আইন পেশায় যোগদান করেন। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেন।
হাসান আরিফ তার কর্মজীবনের শুরু করেন ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে। ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। আইন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং গ্রামীণফোন বাংলাদেশ।