অনেকেই শরীরের ক্লান্তি ও দুর্বলতা কমানর জন্য স্যালাইন খেয়ে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, কারণে-অকারণে এবং দুর্বলতার কারণ সঠিকভাবে না জেনে স্যালাইন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে শরীর দুর্বল লাগলে, যেমন – ডায়রিয়া, বমি বা গরমে অতিরিক্ত ঘামের পর, স্যালাইন খেলে পানি ও খনিজের ঘাটতি পূরণ হয়। এতে থাকা পটাশিয়াম , সোডিয়াম ও ক্লোরাইড দ্রুত শরীরকে সতেজ করে তোলে।
প্রেশার কমে গেলে কিংবা গ্লুকোজের ঘাটতিতে স্যালাইনের গ্লুকোজ ও লবণ দুর্বলতা কাটাতে বেশ কার্যকর হতে পারে।
স্যালাইন খাওার ঝুঁকি ও সতর্কতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানানঃ
অতিরিক্ত স্যালাইন খাওয়ার কারণে ভালো হওয়ার পরিবর্তে উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে:
১. প্রতিদিন স্যালাইন খেলে কিডনিতে চাপ বাড়তে পারে।
২. প্রেশার নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তা না জেনে খেলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যেতে পারে।
৩. স্যালাইনের গ্লুকোজ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪. কিডনি রোগীদের জন্য স্যালাইন অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।
পরামর্শ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্যালাইন শরীরকে সতেজ করলেও তা কারণ না জেনে বা এমনিতে অজথা খাওয়া ঠিক নয়। হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।