বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, গতকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যেসব বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়েছি এটা তদন্তাধীন আছে। দেখা গেছে, এখানে জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছুসংখ্যক ছাত্র নামধারী উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে। সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে মনে করি। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিভিন্ন ফাঁকফোকরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। এখানে কোনো সঠিক জুলাই বা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কেউ থাকতে পারে না।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি সেখানে যান।
সবার মধ্যে সহনশীলতা আসবে বলে আশা প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, হয়তো তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে, সেটা সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। একপর্যায়ে তারা স্বাক্ষর করবে বলে বিশ্বাস করি। আর গণতন্ত্রে সবাই একমত হবে, এমন তো নয়। ভিন্নমত থাকতেই পারে।
এসময় বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও জেডআরএফের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অ্যডাভোকেট মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ব্যারিস্টার ইজাজসহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে ১৯৯৯ সালের ১৮ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি রক্ষার লক্ষ্যে জেডআরএফ প্রতিষ্ঠা করেন। যা ১৮৬০ সালের সোসাইটি অ্যাক্ট দ্বারা নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক, বেসরকারি ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে স্বচ্ছলতা, দেশে আসবে স্বনির্ভরতা’ এই স্লোগানকে ধারণ করেই গরিব এবং অসহায় মানুষের মাঝে ছুটে চলেছে জেডআরএফ। ইতোমধ্যে মানবসেবার অসংখ্য দৃষ্টান্তমূলক কাজের মাধ্যমে সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম লাভ করেছে সংগঠনটি। হাসি ফুটেছে অসংখ্য অসহায় পরিবারে। দেখতে দেখতে সময়ের পরিক্রমায় আজ ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযপান করছে জেডআরএফ। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত, বগুড়া ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ইত্যাদি।