প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলোরোডে ফুটবল খেলায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জোনায়েত ইসলাম পাপ্পু (৩৩) নামের এক যুবকের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- মৃত নুরুদ্দীন মেম্বাররে ছেলে সোহেল (৪০), মো. জুয়েল (১৮), মৃত তারাজুল ইসলামের ছেলে সুজন (৪৪), সোহেলর ছেলে আনন্দ (১৫), উৎসব (১৩), মৃত নূরুদ্দীনের ছেলে জিসান (২৫), জাহিদ (২২), সোহান (২২), রাসেল (২৩), বিল্লাল (২৫), আলামিন (২৫), হামিম (২৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলোরোড সংলগ্ন ৪ তলা বিল্ডিংয়ের পাশে নতুন বালুর মাঠে ভুক্তভোগীর ছোট ভাইরা খেলাধুলা করাকালীন অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাধা দেন। পরে বিষয়টি সে দেখতে পেয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে কথাবার্তার একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে এলোপাথাড়ি চর, থাপ্পড়, কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। মারধরের একপর্যায়ে ২নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে অভিযোগকারী সরে যাওয়ার চেষ্টার সময়ে আঘাতটি তার মাথার মাঝখানে লেগে গুরতর রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত হন। পরে তার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজনসহ তার ছোট ভাই আশরাফ আলী (২১) এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাকেও এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। এরপর ১নং অভিযুক্তের হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়া তার ছোট ভাই আশরাফ আলীকে আঘাত করে ডান হাতের কনির উপরে রক্তাক্ত জখম করে এবং ২নং বিবাদী আশরাফ আলীর ব্যবহৃত রেডমী নোট-১০ মডেলের স্মার্ট ফোনটি নিয়ে যায়। শেষে মারামারি দেখে মানুষজন জড়ো হলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে অতি দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।