২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার আট লাখ কোটি টাকার মতো হতে পারে। এ বাজেটে দেশের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা ধরা হতে পারে এবং ঘাটতি সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
১৮ জানুয়ারি (শনিবার) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন ।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি দাড়াতে পারে ৪ শতাংশ। যদি এই প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশে উঠতে হয়, তাহলে আরও দুই বছর সময় লাগবে ।
ব্যাংকখাত নিয়ে অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন জানান, ২০২৪ এর সেপ্টেম্বর মাস শেষে ব্যাংকখাতে ৭ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার মতো ঋণ ছিল। এটা ২০২৪ এর জুন শেষে ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার মত।
মূল্যস্ফীতির আগুন নেভাতে পানির বদলে তেল ঢালা হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন,
সরকারিভাবে প্রবৃদ্ধি বাড়ার কথা হয়েছিল ২০১৪ সাল থেকেই । কিন্তু আমরা দেখেছি এই অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি কমে আসছে । ২০২২ সাল থেকেই প্রতিমাসে ১০০ কোটি ডলার রিজার্ভ কমে আসছে । ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি ভাবে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল সাত শতাংশ , সেখানে আমাদের বিশ্লেষণে মাত্র চার দশমিক দুই শতাংশ পেয়েছি ।