ভারতীয় আধিপত্যকে বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক অঙ্গল থেকে শুরু করে, বৃদ্ধিজীবীদের থেকে শুরু করে, আইন অঙ্গনের লোকদের কব্জ করে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, ‘‘একটা অংশ তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আরেকটা অংশ সচেতনভাবে বাংলাদেশে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এই ভিনদেশি ‘এসেটদের’ (সম্পদ) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজন ওসমান হাদি দাড়িয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের এসেট, আর ভিনদেশি এসেটরা তাকে মারা জন্য যুক্তি উৎপাদন করেছে। তাকে যখন মারা হয়েছে, তখন সবগুলো নীরব হয়ে বসে রয়েছে। কোনো শব্দ নেই, কোনো কথা নেই। সবাই আমাদের সাথে নাটক করতেছে।’’
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে যে লড়াই করার কথা ছিল, সে লড়াইয়ে আমরা পরাস্ত হয়েছি বলেই আমাদের একজন জুলাই বীর শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই লড়াই অনেক দীর্ঘ। আমরা প্রথম দিকে বলেছিলাম, মুজিববাদের মূলোৎপাটন করতে হবে। কিন্তু মুজিববাদের শিখড় বাংলাদেশে এমন গভীরে পতিত যে, একে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিকভাবে সকল অর্থেই মোকাবেলার শক্তি ও সামর্থ অর্জনের চেষ্টা অথবা লড়াইয়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা খুব কমই দেখেছি। এই ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটা উদ্যোগ। এর বাইরে আমরা খুব কমই উদ্যোগ দেখেছি।’’
সাবেক উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সাংস্কৃতিক লড়াই ও মুজিববাদ লড়াইয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। বাহাত্তরের সংবিধানের ভিত্তিরে মুজিববাদের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ ফেলানো হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে। ৫ আগস্টের পর যখন মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লিগ, এই ১৪ দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রত্যেকটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদের সংবরণ করেছিলাম বলে সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা নিবো আমরা আর ক্ষমা করবো না। আমরা যদি দয়া দেখিয়ে, আমরা এই দেশকে এই দেশের রাজনৈতিক লড়াই-দ্বন্দ্বকে মোকাবিলা করবো, যারা এই লড়াইকে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। এই দেশের লড়াই যদি এই দেশের বাইরে যায়, তবে এই দেশের মুক্তির লড়াইও দেশের বাইরে যাবে।’’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘‘খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। আমরা কিন্তু একটা লাশ পড়লে লাশ নেবো। সুশীলতা করে লাভ হয়েছে। অনেক ধৈর্য হয়েছে।’’

