শিক্ষকরা জানান, আমাদের কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না।
প্রসঙ্গত, তাদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে গত সোমবার সকাল থেকে সারা দেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থবির হয়ে পড়েছে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম ।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা আরও জানান, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গত ১২ তারিখ রোববার দুপুর বেলা তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ঘটে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা । এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় পুরো এলাকায় । এরপর শিক্ষকরা সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবংলাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন সেখান থেকেই ।
গত রোববার ও সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষকরা রাতভর অবস্থান করেন । কেউ অবস্থান করেন প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ থাকেন ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে । তারা দাবি জানান, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই কর্মবিরতি ও আন্দোলন ।
অন্যদিকে, সারা দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও কোনো শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকরা হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়েও প্রতিবাদ করছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অসংখ্য পোস্ট দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা।